বান্দরবানে দীপক চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে মিথ্যাচারের প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন

বান্দরবান সংবাদ দাতা : কক্সবাজারের দুর্দান্ত সচোতর মহিলা আওয়ামীলীগের সাধারন সম্পাদক পুতুল রানী বড়–য়ার মিথ্যাচারের প্রতিবাদে  সংবাদ সম্মেলন করেছে ভুক্তভোগী দীপক চেয়ারম্যান ও তার পরিবার।

২৭ জানুয়ারি ২০২৫ইং, সোমবার দুপুরে বান্দরবান প্রেসক্লাব মিলনায়তনে এ সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়।

সংবাদ সম্মেলনে ভুক্তভোগী দীপক বড়ুয়া তার বক্তব্যে বলেন, গত ২৬ জানুয়ারী ২০২৫ইং তারিখ "ইমন হত্যা মামলার আসামী দীপক বড়ুয়া বিএনপির নাম ভাঙ্গিয়ে মামলার বিভিন্ন অপপ্রচারের প্রতিবাদ" নামক একটি প্রেস ব্রিফিং করেছে উখিয়া উপজেলার দুর্দান্ত সচোতর মহিলা আওয়ামীলীগ এর সাধারণ সম্পাদক পুতুল রানী বড়–য়া। উক্ত প্রেস বিফ্রিংটি আমার দৃষ্টিগোচর হয়েছে। প্রেস ব্রিফিং-এ আমিও আমার পরিবার বিএনপির নাম ভাঙ্গিয়ে মামলা থেকে অব্যাহতির চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি বলে উল্লেখ করেছে যা সম্পূর্ণ মিথ্যা ও উদ্ভট বটে। মুলত গত ২৪ এপ্রিল ২০১৯ সালে জায়গাজমি সংক্রান্ত বিরোধ নিয়ে সামান্য কথা কাটাকাটির জেরে মৃত ভবতোষ এর ছেলে ইমন বড়ুয়া (৩৫) মদ্যপ অবস্থায় এলাকার কিছু মানুষের সাথে কথা-কাটাকাটির এক পর্যায়ে মারামারিতে রাস্তার পাকাতে পড়ে আহত হন। পরবর্তী আহত অবস্থায় হাসপাতালে মৃত্যুবরণ করে। এরই সূত্র ধরে ২৫ এপ্রিল উখিয়া উপজেলার দুর্র্ধষ মহিলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক পুতুল রানী বড়–য়া'র মেয়ে ও কক্সবাজার পৌর যুবলীগ এর সভাপতি আওয়ামী ফ্যাসিবাদের কেন্দ্রীয় দপ্তর সম্পাদক ও শেখ হাসিনার ব্যক্তিগত সরকারী বিপ্লব বড়–ুয়ার ডান হাত ডালিম বড়–ুয়ার স্ত্রী তান্নি বড়ুয়া বাদী হয়ে ৭জনের বিরুদ্ধে থানায় জি/আর: নাইক্ষ্যংছড়ি থানা ১৩০/২০১৯, দায়রা জজকোর্ট মামলা নং: ৭৭/২০২১ ধারায় একটি হত্যা দায়ের করে। উক্ত মামলায় আমাকে ১নং আসামি করা হয়েছে, প্রকৃতপক্ষে ঘটনার দিন আমি কক্সবাজারস্থ নিজ বাড়িতে অবস্থান করছিলাম। উক্ত ঘটনা সম্পর্কে আমি কিছুই জানিনা। আমাকে উদ্দেশ্য প্রণোদিত আওয়ামী ফ্যাসিবাদের যোগান দাতা উখিয়া উপজেলা আওয়ামীলিগের সাধারণ সম্পাদক ও পৌর যুবলীগের সভাপতি ডালিম বড়ুয়া এবং কেন্দ্রীয় নেতা আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক শেখ হাসিনার ব্যক্তিগত সরকারী বিপ্লব বড়ুয়ার ইন্দনে আমাকে ফাঁসানো হয়েছে। মামলায় আরো যাদেরকে আসামি করা হয়েছে তাদের অনেকে সেই দিন ঘটনাস্থলে উপস্থিত ছিলনা। উক্ত মামলা আমি ও আমাদেরকে ফাঁসানোর একটি পরিকল্পিত রাজনৈতিক ফাঁদ। আমি দীপক বড়ুয়া হলফ করে বলছি ইমন হত্যাকান্ডে কোনভাবেই জড়িত নই। আমার ব্যবহৃত মুঠোফোনের সীমের নাম্বার ট্র্যাকিং করলে এটা প্রতীয়মান হবে যে আমি ঘটনার দিন কোথায় ছিলাম নাকি কক্সবাজার নিজ বাসভবনে অবস্থান করছিলাম।

তিনি আরো বলেন, প্রেস বিফ্রিং-এ আমাকে আওয়ামী দোসর হিসেবে উল্লেখ করেছে পুতুল রানী বডুয়া, আমি ১৯৭৮ সালে জিয়াউর রহমানের আদর্শ অনুপ্রাণিত হয়ে তৎকালীন আমলে উখিয়া উপজেলা ছাত্রদলের প্রতিষ্ঠাতা সম্পাদক ছিলাম এবং কক্সবাজার কলেজ শাখা ও কক্সবাজার জেলা ছাত্রদলের নিবাহী সদস্যের দায়িত্ব থেকে ২০০৩ সাল হতে ২০১৪ সাল পর্যন্ত প্রায় ১২ বছর পর্যন্ত বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপি সমর্থিত চেয়ারম্যান ছিলাম। ২০০৩ থেকে ২০২০ সাল পর্যন্ত বান্দরবান জেলার বিএনপি নির্বাহী সদস্য, নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার সহ সভাপতি সহ বিভিন্ন পদে অধিষ্টিত থেকে দায়িত্ব পালন করে অদ্যবধি পর্যন্ত বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপির সাথে সক্রিযভাবে সম্পৃক্ত আছি। যার দলিল প্রমাণাদি আমার কাছে সংরক্ষিত আছে। আমি ১২ বছর ঘুমধুম ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্বরত ছিলাম, সে সুবাধে একজন জনপ্রতিনিধি হিসেবে সব রাজনৈতিক দলের নেতাদের সাথে আমার কিছু ছবি থাকতে পারে এবং কিছু ফেইক ছবি দিয়ে আওয়ামিলীগের নেতা বানানো হচ্ছে এটা অত্যন্ত দুঃখজনক। আমি চ্যালেঞ্জ করে বলছি কেউ যদি আওয়ামীলীগের কোন কমিটিতে আওয়ামীলীগের নূন্যতম সদস্য পদ আমার নাম দেখাতে পারে তাহলে আমি সকল শাস্তি মাথা পেতে নেব। উপরন্তু পুতুল রানী বড়ুয়ার জামাতা ডালিম বড়ুয়া আওয়ামী সরকারের আমলে কেন্দ্রীয় নেতা ফ্যাসিবাদের ধূসর দপ্তর সম্পাদক শেখ হাসিনার বিশেষ সরকারী বিপ্লব বড়–য়ার ক্ষমতার অপব্যবহার করে অনৈতিক ব্যবসা থেকে আরম্ভ করে আওয়ামিলীগের নাম ভাঙ্গিয়ে সন্ত্রাসি করে কোটি কোটি টাকার মালিক হয়ে টাকার গরমে অন্যয় ভাবে মামলা দেওয়া থেকে আরম্ভ করে কক্সবাজার ও ঘুমধুমে ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করেছিল ডালিম বড়ুয়া, প্রিভেল বড়ুয়া, সুপাইয়ন বড়ুয়াদের ইন্দনে মুলত আমি সহ আমার অপরাপর ভাইদের হত্যা মামলার আসামি করা হয়। দূরন্তর পুতুল রানী বড়ুয়া উখিয়া উপজেলা মহিলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক পদে বর্তমানে দায়িত্বরত আছেন। উপরন্ত ডালিম বড়ুয়া কক্সবাজার পৌর যুবলীগের বর্তমান কমিটির সক্রিয় সদস্য। উখিয়া উপজেলার মহিলা আওয়ামী লীগের বর্তমান সাধারণ সম্পাদক পুতুল রানী বড়ুয়া'র মিথ্যাচারে প্রশাসন, আইনশৃঙ্খলা বাহিনী, বিচার বিভাগ কে বিভ্রান্ত না হওয়ার সবিনয় অনুরোধ জানাচ্ছি।