ঢাকাসোমবার , ১৭ই মার্চ, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ
  1. অর্থনীতি
  2. আইটি বিশ্ব
  3. আজকের রাশিফল
  4. আন্তর্জাতিক
  5. আমাদের পরিবার
  6. ইসলামী জীবন
  7. উদ্ভাবন
  8. খুলনা
  9. খেলাধুলা
  10. চট্টগ্রাম
  11. চাকরি-বাকরি
  12. চিত্র বিচিত্র
  13. জাতীয়
  14. জোকস
  15. টেলিকম
আজকের সর্বশেষ সবখবর

ছেলে মেয়ে থাকার পরেও তাদের সাথে থাকার জায়গা হলো না মমতাময়ী মায়ের।

admin
ফেব্রুয়ারি ২০, ২০২৫ ৫:৫৭ অপরাহ্ণ
Link Copied!

ছেলে মেয়ে থাকার পরেও তাদের সাথে থাকার জায়গা হলো না মমতাময়ী মায়ের

মোঃফাহিম হোসাইন ঠাকুরগাঁও জেলা প্রতিনিধিঃ

আমার সন্তানেরা সারা জীবন থাকে যেনো দুধে ভাতে,প্রবাদ টা সত্যি হৃদয়কে স্পর্শ করার মতো। মা তো এমনি হয়। এমন এক মমতাময়ী মা হচ্ছেন গোলেছা বেগম।

ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার ভূল্লী থানা আওতাধীন ১৮ নং শুখান পুখরী ইউনিয়নের ৩ নং ওয়ার্ডে দেখা মিলে এমন এক মমতাময়ী মায়ের।

জানা যায় গোলেছা বেগন (৭০)মৃত অছিম পরামানিকের স্ত্রী। ৪ ছেলে ও ৩ মেয়ের জননী এই গোলেছা বেগম।

তিনার এই কষ্টের কারন জানতে চাইলে, তিনি বলেন অনেক কষ্ট করে খেয়ে না খেয়ে আমি আমাদের সন্তানদের বড় করেছি।সবাইকে বিয়ে দিয়েছি।শুরুতে সবাই ভালো ব্যবহার করলেও বয়স বাড়ার সাথে সাথে সবার কাছে বোঝা হয়ে যাই। অভাবের সংসার হওয়ার কারনে জায়গা জামি না করার ফলে প্রতিনিয়তো কথা শোনাতো ছেলে ও ছেলের বউয়েরা।তারা প্রত্যেকে আলাদা করে বাড়ি করেছে।বয়স হওয়ার কারনে এক জন আরেক জনের বাড়িতে গিয়ে থাকার কথা বলতো।কিন্তু আমার তো বয়স হয়েছে তাই আমি যেনো সবার কাছে বেশি। কেউ আমাকে রাখতে রাজি না। পরিশেষে বাড়ি থেকে বেড়িয়ে পড়ি,, মেয়েদের বাড়িতে গিয়ে কিছু দিন থাকলেও অভাবের সংসার তাদের তাই সেখান থেকে চলে আসি।আসার পর সবাইকে বলি আমি আলাদা থাকবো আলাদা রান্না করে খাবো শুধু তোমরা আমাকে একটু থাকার জায়গা দেও।কিন্তু তাতেও মন গলেনি পাষান ছেলেদের, সবাই জানিয়ে দেয় তাদের যে টুকু জায়গা আছে সেটা ওদের নিজেদের লাগবে।পরিশেষে কোনো জায়গা না পেয়ে সিদ্ধান্ত নেই রাস্তার পাশে ছোট ঘর তুলে সেখানে থাকবো। কিন্তু কাছে তেমন কোন জায়গা না থাকার কারনে, সেখানেও থাকা হলো না। সব শেষে ছোট ভাইয়ের কাছে গিয়ে একটু জায়গা দাবি করি যেখানে একটা ছোট ঘর তুলে কোনোমতো মাতা গুজতে পারবো।ভাই জায়গা দিতে রাজি হলেও জানিয়ে দেয়, সে ঘর উঠানোর কোনো খরচ দিতে পারবে না। সে জানান তার কাছে চলার মতো কোনো টাকা না থাকলেও বয়স ৭০ এর অধিক হওয়ার কারনে বয়স্কভাতা পেতেন সেই টাকা দিয়ে কয়টা টিন এনে কোনো মতো থাকার জায়গা করবেন।তিনি বলেন আমি যে বয়স্কভাতার টাকা পাই সেটা দিয়ে কোনো মতো দিন পার করতেছি।আমরা গিয়ে দেখলাম বর্তমান সময়ে সেই ঘরটিতে থাকা গেলেও সামনে বর্ষাকাল এলে ঘরের চারপাশ দিয়ে পানি আসবে ভিতরে এবং ঘরের মেঝেতে মাটি না কাটার ফলে সেখানেও পানি জামতে পারে।তখন সেই ঘরে তিনার থাকার জন্য কষ্টকর হয়ে দাঁড়াবে। পরিশেষে তিনি বলেন সরকারী কোনো অনুদানের মাধ্যমে আমার ঘরটা যদি ঠিক করে দেওয়া হয় এবং সরকারী যেসব সুযোগ সুবিধা আছে সেগুলো যদি আমাকে দেওয়া হয়,তাহলে হয়তো দুই বেলা দুমুঠো খেয়ে বেঁচে থাকতে পারবো।

এই সাইটে নিজম্ব নিউজ তৈরির পাশাপাশি বিভিন্ন নিউজ সাইট থেকে খবর সংগ্রহ করে সংশ্লিষ্ট সূত্রসহ প্রকাশ করে থাকি। তাই কোন খবর নিয়ে আপত্তি বা অভিযোগ থাকলে সংশ্লিষ্ট নিউজ সাইটের কর্তৃপক্ষের সাথে যোগাযোগ করার অনুরোধ রইলো।বিনা অনুমতিতে এই সাইটের সংবাদ, আলোকচিত্র অডিও ও ভিডিও ব্যবহার করা বেআইনি।