একযুগ পর বান্দরবানে বিএনপি`র মহা সমাবেশ অনুষ্ঠিত
বান্দরবান সংবাদদাতা:
নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্যের মূল্যবৃদ্ধি সহনীয় পর্যায়ে রাখা,অবনতিশীল আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতির উন্নতি ও দ্রুত গণতান্ত্রিক যাত্রাপথে উত্তরণের জন্য নির্বাচনী রোডম্যাপ ঘোষণার দাবিতে এবং রাষ্ট্রের পতিত ফ্যাসিবাদের নানা চক্রান্তের অপচেষ্টা মোকাবেলাসহ বিভিন্ন দাবীতে বান্দরবানে এক যুগ পর জেলা বিএনপি'র বিশাল সমাবেশে অনুষ্ঠিত হয়েছে ।
রবিবার (২৩শে ফেব্রুয়ারী) বিকাল ৩টায় স্থানীয় রাজার মাঠে এই মহা সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।
বান্দরবান জেলা বিএনপির আয়োজিত বিশাল সমাবেশে প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির যুগ্ম মহাসচিব হাবিব উন-নবী খান সোহেল।
বান্দরবান জেলা বিএনপির আহবায়ক সাবেক সাংসদ ও রাজপুত্র সাচিংপ্রু জেরির সভাপতিত্বে এবং জেলা বিএনপির সদস্য সচিব ও সাবেক সফল পৌর মেয়র মোঃ জাবেদ রেজার সঞ্চালনায় সমাবেশে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিতি ছিলেন,বিএনপির কার্যনির্বাহী কমিটির চট্টগ্রাম বিভাগের সাংগঠনিক সম্পাদক,মাহাবুবের রহমান শামীম,বিএনপির কার্যনির্বাহী কমিটির সহ- সাংগঠনিক সম্পাদক হারুন অর রশিদ এবং বিএনপির কার্যনির্বাহী কমিটির অপর সহ- সাংগঠনিক সম্পাদক ব্যারিষ্টার মীর হেলাল উদ্দীন।
এছাড়াও বিএনপির জাতীয় কার্যনির্বাহী কমিটির উপজাতীয় বিষয়ক সম্পাদক,মিসেস ম্যাম্যচিং,বান্দরবান জেলা বিএনপির সিনিয়র যুগ্ন আহবায়ক অধ্যাপক মোঃ ওসমান গণী,যুগ্ন আহবায়ক মুজিবুর রশিদ, বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী বৌদ্ধ ঐক্যফ্রন্টের আহব্বায়ক লুসাই মং, বিএনপি নেতা, জসিম উদ্দিন তুষার বিএনপি নেতা সাহাদাত হোসেন জনি, রিটল বিশ্বাস, জেলা যুবদলের সভাপতি জহির উদ্দিন মাসুম,জেলা যুবদলের সাধারণ সম্পাদক আরিফুর রহমান চৌধুরীসহ প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির যুগ্ম মহাসচিব হাবিব উন-নবী খান সোহেল বলেন,অন্তর্বতীকালীন সরকারের উপর জঙ্গী ভূত ভর করেছে।
দেশের মানুষ গত ১৭ বছর ধরে তাদের পছন্দের প্রার্থীকে ভোট দিতে পারেনি। জনগন এই মুর্হুতে সংস্কারে বিশ্বাসী নয়। এই মুহুর্তে দরকার জাতীয় নির্বাচন। আগামী ডিসেম্বরের মধ্যে যদি জাতীয় নির্বাচন না দেয় তাহলে দুর্বার আন্দোলনের ডাক দেয়া হবে।
শত কোটি টাকা লোপাট ও দুর্নীতির বোঝা মাথায় নিয়ে গত ৫ আগষ্ট ফ্যাসিষ্ট হাসিনা বাংলাদেশ ছেড়ে পালিয়ে গেলেও এখনো তাদের দেশ বিরোধী নানা ষড়যন্ত্র অব্যাহত রয়েছে। পতিত ফ্যাসিষ্ট হাসিনা ও তার দোসরদের সকল ধরনের ষড়যন্ত্রের হাত থেকে বাংলাদেশকে রক্ষা করতে হবে। বর্তমানে নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্য মানুষের ক্রয় ক্ষমতার বাইরে চলে গেছে এবং দেশের আইন শৃংঙ্খলা পরিস্থিতির চরম অবনতি ঘটছে।
তিনি বলেন, গত ৫ই আগস্ট গনঅভ্যুত্থান শুধু রাজনীতিবিদদের জন্য ইতিহাস নয়, ক্ষমতাসীন সকলের জন্য শিক্ষানীয় বিষয়। দেশের ক্লান্তিলগ্নে দেশের মানুষের পাশে দাঁড়াতেন শহীদ জিয়াউর রহমান। পার্বত্য চট্টগ্রামে পাহাড়ী বাঙালির ভাই ভাই সুসম্পর্ক প্রতিষ্ঠাও করেছিলেন তিনি।
গত ১৬ বছরে স্বৈরাচার অবৈধ আওয়ামী লীগের বাঁধা ও হয়রানীর কারনে বান্দরবান জেলা বিএনপিকে বড় ধরনের কোন সমাবেশ করতে দেয়নি।
এসব ষড়যন্ত্রের অংশ হিসেবে বিএনপি ও অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মীদের নামে একের পর এক মিথ্যা মামলা দিয়েছে হয়রানি করে রেখেছিল। এ সুযোগ কাজে লাগিয়ে বান্দরবানের আওয়ামীলীগের নেতা কর্মীরা দুর্নীতি করে দৃশ্যমান সম্পদ গড়ে তোলে।
এর আগে জেলার ৭টি উপজেলা, ৩৩ টি ইউনিয়ন ও ২টি পৌরসভা থেকে জেলা বিএনপি’সহ সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা দলীয় বিভিন্ন ব্যানার ও ফেস্টুন সহকারে খন্ডখন্ড মিছিল নিয়ে সমাবেশে যোগ দেয়।
সমাবেশ শেষে স্থানীয় বিভিন্ন জনগোষ্টির শিল্পীদের পরিবেশনায় মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্টান অনুষ্ঠিত হয়।