গাজীপুরে দোকানপাট ভাঙচুর ও লুটপাট থানায় অভিযোগ
ঢাকা বিভাগীয় ব্যুরো প্রধান
গাজীপুর মহানগরের গাছা থানাধীন হাজির পুকুর মুন্সিবাড়ি এলাকায় বৃহস্পতিবার রাত ৯:৩০ টায় দুর্বৃত্তরা টি এন এন্টারপ্রাইজ ফ্যাক্টরির গ্লাস ভাঙচুর ও দোকানপাট ভাঙচুর সহ লুটপাট এর ঘটনা ঘটেছে বলে অভিযোগ উঠেছে।
অভিযোগে জানা যায় মৃত হেলিম উদ্দিনের ছেলে নাজিম উদ্দিন (৫৫), মৃত হাব মন্ডল এর ছেলে জসিম মন্ডলকে(৪২) ১ নং বিবাদী ও সাতজনের নাম সহ আরো ২০/২৫ অজ্ঞাতনামা করে গাছা থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন।অভিযোগে তিনি আরো বলেন আমি গাছা থানাধীন ছয়দানা হাজিরপুকুর রাকিবুল হাসান রাসেল এর মার্কেটে একটি দোকান ঘর ভাড়া নিয়ে মুদি দোকান দিয়ে ব্যবসা করিয়া আসিতেছি। বিবাদীরা ফ্যাস্টিট সরকার ক্ষমতায় থাকাকালিন সময়ে আওয়ামী লীগসহ সহযোগী সংগঠনের পদধারী নেতা ছিল। উল্লেখিত বিবাদীরা এলাকায় সংঘবদ্ধ ভাবে চলাফেরা করিত এবং এলাকার নিরীহ মানুষের উপর বিভিন্ন ভাবে অন্যায় অত্যাচার করিত। উল্লেখিত বিবাদীরা একাধিক মামলার আসামী। ইং-২৭/০২/২০১৫ তারিখ রোজ বৃহস্পতিবার রাত আনুমানিক ০৯.৩০ ঘটিকার সময় উল্লেখিত বিবাদীরা তাহাদের সহযোগী অজ্ঞাতনামা ২০/২৫ জন সন্ত্রাসী প্রকৃতির লোকজন প্রত্যেকের হাতে থাকা রামদা, ছেন, চাপাতি, লোহার রডসহ দেশীয় অস্ত্র-সস্ত্রে সজ্জিত হয়ে বে-আইনীজনতাবদ্ধে বাদে কলমেশ্বর মোল্লা এলাকা হতে ছয়দানা হাজিরপুকুর এলাকা আসার সময় গাছা থানাধীন ছয়দানা হাজিরপুকুর রাসেল মার্কেটের সামনে আসিয়া জসিম মন্ডলের হুকুমে রবিউল ইসলাম রাহাত সহ উল্লেখিত বিবাদীরা অহেতুক কারনে দোকান ভাংচুর করে আনুমানিক ১৫০০০/-টাকার ক্ষতি সাধন করে। ফারুক হোসেন ও জাহাঙ্গীরের ছেলে রাসেল আমার দোকানের ক্যাশে রক্ষিত নগদ ৫০০০/-টাকা নিয়ে নেয়। ঐ সময় আমি ইহাতে বাধা দিলে ১ নং বিবাদী জসিম মন্ডল, জসিম মন্ডলের ছেলে লিটন মন্ডল , জাহাঙ্গীরের ছেলে রাসেল ও জাহাঙ্গীর আলমের ছেলে রবিউল ইসলাম রাহাত বিবাদীরা আমার উপর অতর্কিত ভাবে আক্রমন চালাইয়া এলোপাথারী ভাবে কিল, ঘুষি মারিয়া শরীরের বিভিন্ন স্থানে নিলাফুলা জখম করে। আমার স্ত্রী রেজিয়া খাতুন (৪০) ফিরাইতে আগাইয়া আসিলে জসিম মন্ডল আমার স্ত্রীর চুলের মুঠি ও পরনের কাপড় চোপড় ধরিয়া টানা হেচড়া করিয়া প্রায় বিবস্ত্র করিয়া শ্লীলতাহানী ঘটায় এবং লিটন মন্ডল আমার স্ত্রী তলপেটে লাথি মুড়া মারিয়া বেদনা দায়ক জখম করে। রাসেল (২৮) আমাকে হত্যার উদ্দেশ্যে আমার গলা চাপিয়া ধরিয়া শ্বাসরোধ করিয়া হত্যার চেষ্টা করে। মোজাম্মেল(২৪) আমার স্ত্রীর গলায় থাকা ০৮ আনা ওজনের একটি স্বর্ণের চেইন, যাহার মূল্য-৭০,০০০/-(সত্তর হাজার) টাকা টান দিয়ে নিয়ে নেয়। বিবাদীদের হাতে থাকা লোহার রড দিয়ে আমার স্ত্রীকে বাইরাইয়া তাহার ডানসহ শরীরের বিভিন্ন স্থানে রক্তাক্ত জখম করে। আমাদের ডাক চিৎকারে আশপাশের লোকজন আগাইয়া আসিয়া আমাদের বিবাদীদের কবল হইতে উদ্ধার করে। বিবাদীদ্বয় আমাকে এই বলিয়া হুমকি দেয় যে, আমি যদি এই ঘটনার বিষয়ে আইনের আশ্রয় নেই তাহলে আমাদের এলাকায় বসবাস করিতে দিবে না, প্রয়োজনে খুন জখম করিয়া লাশ গুম করিয়া ফেলিবে বলিয়া চলিয়া যায়। আমি আমার স্ত্রীকে ফার্মেসী হতে প্রাথমিক চিকিৎসা করি।
মুঠোফোন জসিম উদ্দিন বলেন ঘটনার দিন আমি কিশোরগঞ্জে ছিলাম তবে আমি এসে শুনেছি এই ধরনের ঘটনা ঘটেছে।
গাছা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আলী মোহাম্মদ রাশেদ বলেন অভিযোগ পেয়েছি তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা গ্রহণ কর হবে।