বহুগুণে গুণান্বিত ব্যক্তিত্ব শ.ম দেলোয়ার জাহান এর জন্ম দিবস ও কর্মময় জীবনের গল্প
মোঃ শফিকুল ইসলাম
নিজস্ব প্রতিবেদকঃ
শ ম দেলোয়ার জাহান ১৯৮৭ সালের ১২ই মার্চ ময়মনসিংহ জেলার ত্রিশালে জন্মগ্রহণ করেন। পিতা : মোহাম্মদ আব্দুছ ছাত্তার ও মাতা : সুলতানা পারভীন। তিনি এলাকার মানুষের জন্য সর্বদা প্রতিনিয়ত কাজ করে যাচ্ছেন। সর্বদা সাধারণ মানুষের সাথে মিলেমিশে চলার পাশাপাশি সাদা মাটা জীবন যাপনেও অভ্যস্ত।
সারাক্ষণ দুঃখী, দুঃস্থ ও মেহনতী মানুষের কল্যাণের কথা চিন্তা করে প্রতিবাদের উপরে আসীন থাকেন। শৈশব থেকে অত্যন্ত মেধাবী হয়েও কোনদিন কোন অহংকার করেননি। প্রাথমিক ও জুনিয়র বৃত্তিসহ প্রতিটি একাডেমিক কারিকুলামে সফলতার স্বাক্ষর রেখে চলেছেন। তিনি বিএসসি ইন ফিশারীজ (অনার্স), এমএস ডিগ্রী (মৎস্য ব্যবস্থাপনা) সহ মাস্টার্স, মানব সম্পদ ব্যবস্থাপনায় স্নাতকোত্তর এবং ব্যবসায় প্রশাসনে স্নাতকোত্তর ডিগ্রী অর্জনসহ তিনটি বিষয়ে মাস্টার্স ডিগ্রী অর্জন করেছেন। এলাকার উন্নয়নে বহু সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠন প্রতিষ্ঠান গড়ে তুলেছেন। এলাকার মানুষের সমাজসেবার কথা চিন্তা করে ২০০১ সালে গড়ে তুলেছেন “স্পাস ফাউন্ডেশন অফ বাংলাদেশ”। এলাকার সকল শ্রেণী পেশার মানুষের প্রতি অগাধ ভালোবাসা প্রকাশের নিমিত্তে ২০০১ সালে গড়ে তুলেছেন ব্যক্তিগত উদ্যোগে “ডাক বাংলা গণগ্রন্থাগার”। সামাজিক ও নৈতিক দায়বদ্ধতা থেকে এলাকার মেধাবী, দুঃস্থ ও অসহায় ছাত্র-ছাত্রীদেরকে অধ্যয়নমুখী করতে এবং শিক্ষাবৃত্তি প্রদান করতে “সুলতানা পারভীন কল্যাণ ট্রাস্ট” নামে একটি শিক্ষামূলক প্রতিষ্ঠান গঠন করেন। তিনি একজন ধর্মভীরু ও উদার সংস্কৃতিমনা সফল সংগঠকও বটে।
তিনি সর্বপ্রথম ঢাকায় একটি লিমিটেড কোম্পানীতে চাকুরীজীবন শুরু করেন। বিগত ৭ বছর বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে উচ্চতর পরে সুনামের সহিত চাকুরী করেছেন। তিনি একজন সফল উদ্যোক্তা ও ব্যবসায়ী। উদ্যোক্তা ও ব্যবসায়ী হিসেবে ২০১৯ সালে গড়ে তুলেন “সম্মিলিত উদ্যোক্তা ফোরাম”। তিনি একজন সাহিত্যমনা হিসেবে ২০২০ সালে প্রতিষ্ঠিত করেন “ডাক বাংলা সাহিত্য একাডেমি”। তাঁর প্রতিষ্ঠিত “ডাক বাংলা সাহিত্য একাডেমি”র সদস্যরা সাহিত্যের প্রথম সারির লেখক ও পাঠক। তিনি দেশে-বিদেশে বিভিন্ন অনুষ্ঠানে সমালোচনাকারীদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য একজন প্রথম সারির সমালোচক ব্যক্তি। তিনি বিভিন্ন পত্র-পত্রিকায় নিয়মিতভাবে লেখালেখি করে থাকেন। কবিতা, কলাম, প্রবন্ধ-নিবন্ধ লিখে থাকেন। তিনি অসংখ্য সাহিত্য, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠনের সাথে ওতপ্রোতভাবে জড়িত আছেন। তিনি অনেক সংগঠনের কমিটির নেতৃত্বে রয়েছেন। দেশি-বিদেশি বিভিন্ন স্থান থেকে প্রকাশিত শতাধিক যৌথ কাব্যগ্রন্থে ও ম্যাগাজিনে তাঁর লেখা স্থান পেয়েছে। শতাধিক পত্র-পত্রিকায় লিখেই চলছেন পুরো দমে। দেশের বিভিন্ন জেলায় সাহিত্য সফর করে চলেছেন অবধি। তাঁর একক কাব্যগ্রন্থ “স্বপ্ন নিয়ে যাত্রা” ও “প্রিয়ার কান্না” সুধী পাঠক মহলে তাঁকে উদীয়মান কবির মর্যাদা এনে দিয়েছে। তিনি একজন মানবাধিকার সংগঠকও বটে। মানবাধিকার সচেতন হওয়ায় বিভিন্ন রাজপথে সংগ্রাম, মিছিল ও মিটিং করছেন। তিনি মানবাধিকার বিষয়ক সংগঠন ন্যাশনাল প্রেস সোসাইটি (এনপিএস) এর বরিশাল বিভাগীয় শাখার সভাপতি’র দায়িত্ব পালন করছেন। সাংবাদিক নেতৃত্বেও তাকে সময় দিতে হয়। সাংবাদিকদের অধিকার নিয়েও কথা বলেন সর্বদা সচেতন থেকে। তিনি বিভিন্ন পত্র-পত্রিকার সম্পাদক ও প্রকাশকের পদে দায়িত্ব পালন করে চলেছেন। তিনি ব্যক্তিগতভাবে অসহায় ও সুবিধা বঞ্চিত মানুষকে সহয়তা করার নিমিত্তে সমাজসেবায় অগ্রণী ভূমিকা পালন করছেন।
১৯৯৭ সাল থেকে সাহিত্যের প্রতি ভালোবাসা রেখে সৃষ্টি করেন কবিতা, গল্প, ছড়া, উপন্যাস ও নাটক লেখালেখির। ছাত্র জীবন থেকেই তাঁর লেখালেখি শুরু। সেই শৈশবকাল থেকেই তাঁর মনোজগতে সাহিত্য স্বভাব ও প্রতিভার উন্মেষ ঘটতে থাকে। তিনি গল্পকে জনপ্রিয় করার সংকল্প গ্রহণ করেছেন। তিনি বাস্তববাদী মানুষ, বাস্তববাদী কবি ও লেখক এবং প্রতিবাদী কবি ও লেখক। লেখালেখির পাশাপাশি তাঁর সম্পাদনার কাজ চলছে সৃজনশীলতায়। সে কারণে মনের অনেক গহীন ভাবনা থেকে গেছে মনের অতলেই। একাধারে তিনি নতুন প্রজন্মের উদীয়মান কবি, সাহিত্যিক, ঔপন্যাসিক, শিল্পী, সাহিত্যপ্রেমী, আবৃত্তিকার, ছড়াকার, গল্পকার, নাট্যকার, কলামিষ্ট, প্রাবন্ধিক, দার্শনিক, সম্পাদক, সংগঠক, প্রকাশক, গবেষক, সমাজ সেবক, উদ্যোক্তা এবং বিশিষ্ট ব্যবসায়ী। তাঁর একক গ্রন্থের পাশাপাশি আরো বেশ কয়েকটি একক গ্রন্থ ও যৌথ গ্রন্থ প্রকাশের পথে ও কাজ চলমানের অপেক্ষায় আছে। নিজের লেখা বিভিন্ন কবিতা, ছড়া, ছোট গল্প এবং গল্প স্থানীয় পত্র-পত্রিকা, যৌথ গ্রন্থে ও অনেক ম্যাগাজিনে প্রকাশিত হয়। বর্তমানে তিনি ১০৬ টি বই সম্পাদনা করেছেন। তাঁর বেশ কয়েকটি সংগঠন আছে। তিনি বনানী বাংলা ডেভেলপমেন্ট সোসাইটি থেকে করোনা মহামারীকালে ৬০০ জন হত দরিদ্র ও ছিন্নমূল মানুষকে খাদ্য, বস্ত্র ও ত্রাণ সহায়তা দিয়েছেন। তিনি বাংলাদেশের বিভিন্ন জেলা, ভারত ও সৌদি আরব ভ্রমণ করেছন। তিনি আর্কাইভস ও গণগ্রন্থাগার অধিদপ্তরের একজন নিবন্ধিত লেখক। মানব জাতিস্বত্তার এই কবি, লেখক ও সাহিত্যিক মানবসেবা, সমাজসেবা এবং লেখালেখির জন্য দেশী-বিদেশী সরকারি-বেসরকারি বিভিন্ন সংস্থা থেকে বহু পদক, পুরস্কার ও সম্মাননা লাভ করেছেন।
তিনি কর্মজীবনে বনানী বাংলা ডেভেলপমেন্ট সোসাইটির নির্বাহী পরিচালক, মেসার্স বনানী এন্টারপ্রাইজের স্বত্বাধিকারী, ১ম শ্রেণির ঠিকাদার ও সরবরাহকারী, ডাক বাংলা প্রকাশনীর স্বত্বাধিকারী ও প্রকাশক, বনানী বাংলা গ্রুপ ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও সিইও হিসেবে কর্মরত আছেন।