সীমান্তে ইয়াবা চালানের মূল হোতা রোহিঙ্গা সিরাজ সিন্ডিকেটের রাজত্ব
বান্দরবান প্রতিনিধি: বান্দরবান নাইক্ষ্যংছড়ির ঘুমধুম ও কক্সবাজারের উখিয়া সীমান্তে ইয়াবা চোরা চালানের মূল হোতা রোহিঙ্গা সিরাজ সিন্ডিকেট। প্রশাসনকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে প্রতিনিয়ত এ রোহিঙ্গা সিরাজ সিন্ডিকেট দেশের অভ্যন্তরে পাঁচার করছে কোটি কোটি টাকার ইয়াবা। এছাড়াও সীমান্তে নানা ধরণের অপকর্মের সাথেও লিপ্ত হচ্ছে এ সিন্ডিকেট।
খোজ নিয়ে জানাগেছে, রোহিঙ্গা সিরাজ সিন্ডিকেটে রোহিঙ্গা সিরাজ ছাড়াও রয়েছে মিয়ানমারের মন্ডু শহরের ফয়েজুল ইসলামের ছেলে সিরাজ উদ্দিন (৪৫), আমির হোসেনের
ছেলে নুরুল আমিন (৩০) প্রকাশ (কালা পুতিআ), ফয়জুল ইসলামের ছেলে ইসমাইল (৩৮), রোহিঙ্গা ক্যাম্প ১১'র মোহামম্মদ আলমের ছেলে মৌলভী মানর প্রকাশ (আমজাদ) ও ক্যাম্প ৮ ই ব্লক ৬০'র নাজির হোসেনের ছেলে আবুল কাসিম।
স্থানীয়দের মতে, এ সিরাজ সিন্ডিকেট বর্তমানে সীমান্তে ইয়াবা চোরাচালানসহ আরকান আর্মির কাছে দেশের গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পাচারের সাথেও জড়িত। তারা বাংলাদেশের কতিপয় জনপ্রতিনিধি ও স্বনামধন্য ব্যক্তিদের মাধ্যমে জাতীয় পরিচয় পত্র (এনআইডি) দেশের নাগরিকত্ব পেয়েছেন। বর্তমানে দেশের বিভিন্ন স্থানে ইয়াবা পাচারের সাথে জড়িত হয়ে চট্টগ্রাম ও হাটহাজারীতে গড়েছেন বহুতল ভবন ও কয়েক কোটি নগদ টাকা। তারা বিলাসবহু গাড়ি নিয়ে উখিয়া ও ঘুমধুমের রোহিঙ্গা ক্যাম্পে প্রতিনিয়ত যাতায়াত করছে। তাদের বিলাসবহুল জীবন যাপন ও বারবার রোহিঙ্গা ক্যাম্পে যাতায়াত অস্থির স্থানীয় ও আশ্রিত রোহিঙ্গারা।
এদিকে বিভিন্ন সময় তাদেরই একজনের বিলাসবহুল (এসইউভি) পাজেরো গাড়িতে করে ইয়াবা পাচারের সময় কক্সবাজারের উখিয়ার বিভিন্ন স্থানে লক্ষ লক্ষ পিচ ইয়াবা জব্দ করা হয় যার বাজার মূল্য কয়েক কোটি টাকা।
রোহিঙ্গারা জানায়, বিভিন্ন ব্যবসার আড়ালে ইয়াবার ব্যবসায় চালিয়ে যাচ্ছে রোহিঙ্গা সিরাজ সিন্ডিকেট। তার ইয়াবার বিশাল সব চালান সমুদ্রপথে মাছ ধরার ট্রলারযোগে বাংলাদেশ সীমান্তে তার সহযোগিদের কাছে পৌছায়। আর রোহিঙ্গা সিরাজ সিনিাডকেট এসব ইয়াবার চালান দেশের অভ্যন্তরে নিয়ে এসে কয়েক দিনের জন্য নিজেদের হেফাজতে মজুদ করে পরে তা মাদক ব্যবসায়ী, রোহিঙ্গা ক্যাম্প, কক্সবাজার ও ঢাকা, নারায়ণগঞ্জ ও গাজীপুরসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে নির্ধারিত এজেন্টদের মাধ্যমে সুবিধাজনক সময়ে বিক্রি করে।