রুমা ও থানচিতে শেরপুর পাড়া সেনাবাহিনীর মেডিকেল ক্যাম্পিং ও আর্থিক সহায়তা প্রদান।
বান্দরবান (থানচি) প্রতিনিধি: মথি ত্রিপুরা
তাজিংডং এর পাদদেশে শেরকুর পাড়ায় বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর কর্তৃক মেডিকেল ক্যাম্পিং ও আর্থিক সহায়তা প্রদান করা হয়।
প্রাকৃতিক সৌন্দর্য, জনবৈচিত্র্য এবং বৈচিত্র্যময় সংস্কৃতিতে সমৃদ্ধ আমাদের বন্ধনের জেলা বান্দরবান। পাহাড়ি দুর্গম এলাকা হওয়া সত্ত্বেও, প্রাকৃতিক সম্পদে ভরপুর এবং পর্যটন শিল্প বিকাশের অসীম সম্ভাবনা নিয়ে বান্দরবান বাংলাদেশের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ জেলা হিসেবে বিবেচিত। সদর দপ্তর ২৪ পদাতিক ডিভিশনের ৬৯ পদাতিক ব্রিগেড ও বান্দরবান রিজিয়ন শান্তি, সম্প্রীতি ও উন্নয়ন বজায় রাখার জন্য নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে।
সম্পৃতির এই ধারাবাহিকতায়, বান্দরবান পার্বত্য জেলার বাকলাই পাড়া সাবজোন অধিনস্ত পাহাড়ি এলাকায় মানবিক সহায়তার অংশ হিসেবে মেডিক্যাল ক্যাম্পিং এবং আর্থিক সহায়তা প্রধান করেছে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী।
গতকাল, বৃহস্পতিবার (১০ এপ্রিল) বিকেল ১৬৩০ ঘটিকায় ১৬ ইস্ট বেঙ্গল রেজিমেন্টের বাকলাই পাড়া সাবজোনের অন্তর্গত তাজিংডং চূড়ার পাদদেশে শেরকুর পাড়ায় মোট ৬৩ জনের( পুরুষ -১১, মহিলা -২৯, শিশু -২৩) মাঝে মেডিক্যাল ক্যাম্পিং এবং আর্থিক সহায়তা প্রদান করা হয়। দি ম্যাজেস্টিক টাইগার্স – এর অধিনায়কের পক্ষ হতে পাড়াবাসীর উন্নয়নের জন্য নগদ অর্থ প্রদান এবং মেডিকেল ক্যাম্পিং করেন বাকলাই পাড়া সেনা সাবজোন কমান্ডার।
পাহারী- দুর্গম এলাকায় চিকিৎসা সহায়তা ও আর্থিক অনুদান পেয়ে শেরকুর পাড়া এলাকার কমিউনিটি চার্চের ধর্মযাজক লাল জাই বম বলেন ,এরকম দুর্গম এলাকায় দক্ষ চিকিৎস্যক দিয়ে চিকিৎসা সেবা প্রদান শুধুমাত্র বাংলাদেশ সেনাবাহিনী দ্বারা সম্ভব। বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর প্রতি আমরা অনেক কৃতজ্ঞ। পাড়ার কারবারি তুম থন বম বলেন, সেনাবাহিনীকে আমরা ভালবাসি, আমরা চাই সোনাবাহিনী যেন এভাবে আামাদের পাশে সবসময় থাকে। সেনাবাহিনীর অবদানের কারনে আমরা পাড়াবাসী পরিবার-পরিজন সুন্দর-সুস্বাস্থ্য জীবনযাপন করতে পারছি।
অধিনায়ক, ১৬ ইস্ট বেঙ্গল রেজিমেন্ট বলেন, বাংলাদেশ সেনাবাহিনী সকল পরিস্থিতিতে সাধারন জনগণের পাশে ছিল, আছে এবং থাকবে। দেশের জনগনের সার্বিক উন্নয়নের লক্ষে সেনাবাহিনী সর্বদা সচেষ্ট। এই উদ্যোগের মাধ্যমে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী পাহাড়ের দুর্গম এলাকাগুলোতে মানসম্মত নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যাদি পাওয়াটাই অনেক কষ্টসাধ্য সেখানে, বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর সহায়তায় বিভিন্ন নিত্য প্রয়োজনীয় সামগ্রীর পাশাপাশি চিকিৎসা সেবা ও আর্থিক সহায়তা পৌঁছানো হচ্ছে। বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর এই উদ্যোগ স্থানীয়দের জন্য একটি বড় সমর্থন এবং উৎসাহের উৎস হিসেবে কাজ করেছে, যাতে তারা সুস্বাস্থ্য জীবনযাপন পালন করতে পারে।